কারুকার্যময় শৈল্পিক আভিজাত্য
আহসান মঞ্জিলে গেলে আমরা দেখতে পাই নবাব পরিবারের কারুকার্যময় অপূর্ব সুন্দর রুচিসমৃদ্ধ জিনিসের ব্যবহার। দেখলে মন জুরিয়ে যায়। আর মনে মনে বলি, ইস্ আমার ঘরে যদি এমন জিনিস থাকতো।
ঘরটায় এই জিনিসের কারণে অন্যরকম শৈল্পিক আভিজাত্যে ভরে যেত। বর্তমানে একটি কথা ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে খুব প্রযোজ্য। তা হল, কম জিনিসের মধ্যেই বেশি প্রশান্তি। চোখ যেন একটু তাকানোর জায়গা খুঁজে পাই।
যা দেখছে তার আশপাশে কিছু স্পেইস থাকতে হবে। কনজাসটেড বা একসাথে অনেক জিনিস রাখলে কোনটার দিকেই চোখ আলাদা করে তাকাতে পারে না।
এছাড়া ডিজাইনের ক্ষেত্রে পুরোনো নকশা করা জিনিসই ঘুরেফিরে বর্তমান চাহিদার মূলকেন্দ্রবিন্দুতে আছে। অনেকক্ষেত্রে, আমরা সামনে এগুচ্ছি পেছনের অভিজ্ঞতা, রুচিকে সাথে নিয়ে। তবে এ ধরণের কারুকার্যময় জিনিসের মূল্যটাও চাহিদার চেয়ে কম নয়। সাধ আছে সাধ্য নেই কিংবা রুচি আছে কিন্তু রুজি নেই; এমন কথা মধ্যবিত্তের ঘরে খুব শোনা যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনি যে কাজটি করতে পারেন তা হল, অনেক জিনিস না কিনে বেছে বেছে কিছু জিনিস কেনা।
অর্থাৎ একটি ভিন্নধর্মী জিনিসের জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করে কিছু অর্থ জমিয়ে তারপর কাঙ্খিত জিনিসটি কেনা। তাহলে সাধ্যের মধ্যে সবটুকু না হলেও অনেকটুকু পাওয়া হয়ে যেতে পারে।